হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ আরও ৮ জন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানা গেছে।
ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যুর পরেই থেকে আলোচনায় উঠে এসেছে ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের নাম। জল্পনা, তারাই কৌশল করে রাইসিকে হত্যা করেছে। তবে সোমবার ইসরায়েল জানিয়েছে, রাইসির মৃত্যুর নেপথ্যে তাদের কোনো হাত নেই। তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “রাইসির মৃত্যুতে আমরা জড়িত নই।”
রোববার আজারবাইজান সীমান্ত লাগোয়া পার্বত্য অঞ্চলে হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু হয়েছে রাইসির। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা এবং সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পর্বতে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে রাইসির হেলিকপ্টার। সেই সময় দুর্ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা খুব কম ছিল। আপাতভাবে আকস্মিক দুর্ঘটনার জেরেই রাইসির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও অনেকে মনে করছেন, ওই ঘটনার নেপথ্যে হাত রয়েছে ইরানের ‘শত্রু’ দেশ ইসরায়েলের।