২০২৩ সালের জুলাই মাসের মতো গরম অতীতে আর কোনো মাসে পড়েনি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ুবিষয়ক পর্যবেক্ষণ সংস্থার পর, এবার নাসাও একই কথা জানাল।
১৮৮০ সাল থেকে তাপমাত্রার হিসাব রাখছে নাসা। নাসার রেকর্ড অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসের গড় তাপমাত্রা বিগত জুলাই মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ ছিল। ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত জুলাইয়ের গড় তাপমাত্রার তুলনায় এই জুলাই মাসের গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল বলে জানা যায় এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।
নাসার কর্মকর্তা বিল নেলসন বলেন, “সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যে অবস্থা অনুভব করেছেন, নাসার তথ্যে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। এর ফলে জলবায়ু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবী ও এর জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যখন এ রকম তথ্য প্রকাশ করছে, তখন বিশ্ব সাক্ষী হচ্ছে একের পর এক এক দাবানলের।
নাসার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ, উত্তর আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, অ্যান্টার্কটিকা সম্প্রতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ ছিল। অঞ্চলগুলোর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
প্রশান্ত মহাসাগরে গত মে মাস থেকেই ‘এল নিনো’ বা গরম সমুদ্র স্রোতের প্রভাব দেখা গিয়েছে। সেই প্রভাব ২০২৪ সালে বেশি হবে বলে জানান নাসা গডার্ড ইনস্টিটিউটের পরিচালক গ্যাভিন স্মিথ। তিনি বলেন, “১৮৮০ থেকে আমাদের রেকর্ডে এই জুলাই মাস সর্বকালের উষ্ণতম মাস ছিলো। বিজ্ঞান জানাচ্ছে, এটা অস্বাভাবিক। মূলত গ্রিনহাউস গ্যাস দুনিয়ার মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”