গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে থাকা সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে, এটি জানতে তার পেট কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলেন স্বামী। পরে ওই গৃহবধূকে বাঁচানো গেলেও পেটের সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। ভারতের উত্তর প্রদেশের বাহাদুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, পরে জানা যায় ওই সন্তান ছিল ছেলে। এ ঘটনায় এক মামলায় স্বামী পান্না লালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০২০ সালের নভেম্বরের এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী অনিতা।
পান্না-অনিতা দম্পতির ২২ বছরের সংসার। তাদের পাঁচ সন্তান রয়েছে, সবাই মেয়ে। ছেলেসন্তানের জন্য প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন পান্না। অনিতার পরিবার তাকে অনেক বোঝালেও তিনি অনিতাকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেন। ডিভোর্স দিয়ে অন্য আরেকটা বিয়ে করে ছেলেসন্তান চান বলে জানান তিনি।
ঘটনার দিন গর্ভের সন্তান নিয়ে ঝগড়া করেন পান্না ও অনিতা। এ সময় পান্না হুমকি দেন, তিনি পেট কেটে দেখবেন সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। পরে মেরে ফেলারও হুমকি দেন তিনি।
পরে ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় অনিতাকে ধরে কাঁচি দিয়ে পেট কেটে ফেলেন। অনিতার পেটে তখন আট মাসের সন্তান। এতে পেটের নাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল তার।
পরে আশপাশের লোকজন এতে দ্রুত হাসপাতালে নিলে বেঁচে যান অনিতা। তবে, সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। জানা যায়, সন্তানটি ছিল ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান পান্না।