• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় পাকিস্তানে তরুণীকে হত্যা, বাবা আটক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৩, ১১:৫০ এএম
ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় পাকিস্তানে তরুণীকে হত্যা, বাবা আটক
পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের শিকার তরুণী। প্রতীকী ছবি: বিবিসি

পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একটি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ার জেরে ‘পরিবারের সম্মান রক্ষায়’ তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ওই তরুণীর বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়ারার কোহিস্তান এলাকায়। স্থানীয় আদিবাসী কাউন্সিলের (জিরগা) বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, গত সপ্তাহে এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই তরুণীর একটি ভুয়া ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তার বাবা ও চাচা তাকে গুলি করে হত্যা করেন।

এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায়, স্থানীয় পুলিশ নিহত তরুণীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া ব্যক্তিদেরও খোঁজা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তরুণীর সঙ্গে যে ব্যক্তিকে দেখা গেছে, তাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কারণ জিরগার বয়োজ্যেষ্ঠরা তারও মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন।

এ ছাড়া পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও এক নারী-পুরুষের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের ছবিটিও ভুয়া বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছবিটির কারণে ওই ছবিতে থাকা দুজনও হত্যার হুমকি পেয়েছেন। এরপরই ভুক্তভোগী ওই নারীকে হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে পরিবারের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয়। ওই নারী পুলিশকে জানান, পরিবারের সদস্যদের কাছে তার কোনো ঝুঁকি নেই। তিনি নিরাপদে থাকবেন।

পুলিশ বলছে, ফটোশপের মাধ্যমে দুটি ছবিকে জোড়া দিয়ে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে দেখা হচ্ছে।

প্রতিবছর পাকিস্তানে কয়েক শ নারী অনার কিলিংয়ের শিকার হন। কিছু পুরুষও এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

২০১৬ সালে পাকিস্তান সরকার এ সংক্রান্ত আইন সংস্কার করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখেছে। তবে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে ক্ষমা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, পাকিস্তানে আইন পরিবর্তনের পরও হত্যাকারীরা বিভিন্ন উপায়ে বিচার এড়িয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে অনার কিলিং বন্ধে আন্দোলন করে আসছে।

Link copied!