রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তিসহ অন্যান্য মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের শর্তাবলি পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে মিসর। ফলে দেশটি মিসরের ৮৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এই আটকে দেওয়া তহবিলের কিছু অংশ তাইওয়ানকে দেওয়া হবে বলে জানান এক মার্কিন সিনেটর। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডেমোক্রেট সিনেটর ক্রিস মারফি দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে মিসরের ‘মানবাধিকারের ভয়ংকর রেকর্ড’ বর্ণনা করে আরও ২৩৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা আটকানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ২৩৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত আশা করা হচ্ছে।
ক্রিস মারফি বলেন, “প্রশাসন সঠিকভাবে প্রথম কিস্তি আটকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির সঙ্গে জড়িত ৮৫ মিলিয়ন ডলার। কারণ সেখানে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রশাসনকে কাজটি শেষ করার জন্য এবং মিসরের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের রেকর্ডের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পুরো ৩২০ মিলিয়ন ডলার আটকে রাখার জন্য অনুরোধ করব।”
বিদেশি সামরিক অর্থায়নের জন্য কংগ্রেসনাল কমিটিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের চিঠিতে বলা হয়েছে, মিসরকে না দেওয়া ৮৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে থেকে ৫৫ মিলিয়ন ডলার তাইওয়ানে এবং বাকি ৩০ মিলিয়ন ডলার লেবাননে পাঠানো হবে।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিসর দূতাবাস এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।