‘ন্যাটো প্লাস বা ন্যাটো প্লাস-৫’ একটি নিরাপত্তাবিষয়ক জোট। এই জোটে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, ইসরায়েল ও দক্ষিণ কোরিয়া। গোটা বিশ্বের প্রতিরক্ষা মজবুত করার লক্ষ্যে এ আয়োজন বলে ন্যাটো জানিয়েছে। আর এই প্ল্যাটফর্মে যদি ভারত চলে আসে, তাহলে বাধাহীনভাবে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান ও সামরিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রযুক্তিকে সহজে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে।
আর তাই তো ভারতকে ন্যাটো প্লাসে অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেশনাল কমিটি অন সিসিপি নিয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের একটি স্নায়ুযুদ্ধ তৈরি হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও এই সময় পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। নয়াদিল্লিকে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের আগে একটি তাৎপর্যমূলক ঘটনা।
বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে দুই দেশের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। বেইজিংকে আটকাতেই পাঁচ সদস্যের ন্যাটো প্লাস গ্রুপে ভারতকে অন্তর্ভুক্তি করার প্রস্তাব বলেও জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
কংগ্রেসে প্রস্তাবটি পেশ করেছেন সাংসদ রাজা কৃষ্ণমূর্তি। গত বুধবার মার্কিন সিলেক্ট কমিটির পক্ষে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের সাহায্যের প্রয়োজন। আর সে ক্ষেত্রে ন্যাটো প্লাসে নয়াদিল্লিকে অন্তর্ভুক্ত করা খুব জরুরি।
এ অন্তর্ভুক্তির ফলে শুধু বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার হবে না, সেই সঙ্গে যেকোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ন্যাটো প্লাস গ্রুপে ভারতকে যুক্ত করা হলে, গ্রুপের দেশগুলোর গোয়েন্দারা নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধা পাবে। সেই সঙ্গে সামরিক প্রযুক্তিরও সুবিধা মিলবে।
ইতোমধ্যে ভারত কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই গ্রুপে ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশগুলো হলো জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে আগামী জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।