জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া মার্কিন সেনা সদস্য ট্রাভিস কিং-কে পিয়ংইয়ং বহিষ্কার করেছে। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাভিস কিং-কে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর আগে চীনে মার্কিন হেফাজতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
২৩ বছর বয়সী এই সেনা চলতি বছরের জুলাইয়ে অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘অমানবিক আচরণ’ ও বর্ণবাদের কারণে তিনি পালিয়ে গেছেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনের একজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা বলেন, কয়েক মাসের ‘তীব্র কূটনীতি’র পর প্রাইভেট ট্রাভিস কিং যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ফিরে এসেছেন। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানা ওই কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে প্রাইভেট কিং তার বাড়িতে আসার জন্য খুব খুশি, এবং তিনি তার পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।” তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ট্রাভিসের মুক্তি নিশ্চিত করতে কোনো ছাড় দেয়নি।
চীনের সীমান্ত শহর ডান্ডং-এ মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার পর ট্রাভিসকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি বিমানে করে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলেছে, দেশটি প্রাইভেট কিংকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তারা জানায়নি।
উত্তর কোরিয়া বিবৃতিতে জানায়, “ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ মার্কিন সৈনিক ট্রাভিস কিংকে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যিনি প্রজাতন্ত্রের আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন।”
প্রাইভেট ট্রাভিস কিং ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে সেনাবাহিনীতে রয়েছেন এবং ইউনিট রোটেশনের অংশ হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলেন।
উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের আগে তিনি দুই জনকে লাঞ্ছিত এবং পুলিশের গাড়িতে লাথি মারার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই মাস আটক ছিলেন। ১০ জুলাই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাভিসকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বিমানবন্দর থেকে পালাতে সক্ষম হন এবং উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সুরক্ষিত ডিমিলিটারাইজড জোনে সীমান্ত গ্রাম পানমুনজোমের একটি সফরে যোগদান করতে সক্ষম হন। প্রাইভেট কিং সেখান থেকে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।