যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও ইলিনয় স্টেটে আবারও শক্তিশালী টর্নেডো আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোররাতে অঙ্গরাজ্যের মধ্য দিয়ে ঝড়টি বয়ে যায়, এত বলিঞ্জার কাউন্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানায়, রাতভর বিভিন্ন এলাকায় আঘাত করে ১১টির বেশি টর্নেডো। এতে বিধ্বস্ত হয় বহু ঘরবাড়ি-স্থাপনা। উপড়ে পড়েছে অনেক গাছপালা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা।
মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর মাইক পারসন বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি হয়েছে, যা ঠিক হতে সময় কয়েক মাস লাগতে পারে। ইলিনয়েও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে টর্নেডো।”
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, একাধিক সরকারি সংস্থার কর্মীরা গ্রামীণ এই এলাকাটির ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে।
মিসৌরি অঙ্গরাজ্য হাইওয়ে পেট্রলের সুপার এরিক ওলসন জানিয়েছেন, পাঁচজন নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন, এর পাশাপাশি ৮৭টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত ও ১২টি ভবন ধ্বংস হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ছবিতে সেইন্ট লুয়িস শহর থেকে ১৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণে গ্লেন অ্যালেন নামের এক গ্রামের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে। ছবিগুলোতে ছাদ উড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, উপড়ে পড়া গাছ ও ছিঁড়ে পড়া বৈদ্যুতিক তারের পাশাপাশি রাস্তা ও বাড়ির সামনের উঠানগুলো আবর্জনায় ছেয়ে থাকতে দেখা গেছে।
মাত্র কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে বিশাল অঞ্চলজুড়ে আঘাত হানা প্রবল টর্নেডোতে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। আরকানসাস, অ্যালাব্যামা, টেনেসি, মিসিসিপিসহ কয়েকটি রাজ্যর মানুষের ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।