বিশ্বের ৯টি দেশের ৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
স্থানীয় সময় শনিবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা জানানো হয়।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দেশগুলো হলো-
উত্তর কোরিয়া, এল সালভাদর, গুয়েতেমালা, গিনি, ইরান, মালি, ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং চীন।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবাজ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এর অংশ হিসেবে আলবেনিয়া, বসনিয়া, মন্তেনেগ্রো, কসোভো, উত্তর মেসেডোনিয়া, সার্বিয়া, বেলারুশ, লাইবেরিয়া, গুয়েতেমালা, রাশিয়া, মিয়ানমার এবং ইরানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর বছরব্যাপী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এখন বছরের শেষ দিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ওঠল আরও ৪০ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেশটির আন্ডার সেক্রেটারি অব দ্য ট্রেজারি ফর টেরোরিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্সের কর্মকর্তা ব্রায়ান ই নেলসন বলেন, “দুর্নীতিবাজ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থার ফাঁক ফোকরের ওপর নির্ভর করে অপরাধ সংঘটিত করে। গত কয়েক বছরে ট্রেজারি বিভাগ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে।”
ব্রায়ান ই নেলসন বলেন, “অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ও অন্যান্য দেশে থাকা এসব অপরাধীদের অর্থনৈতিক দুর্বলতাগুলো প্রকাশ করে তাদের থামানোর চেষ্টা করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতিবাজদের তথ্য ফাঁস করার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম ব্যাহত করা, তাদের নেটওয়ার্ক দুর্বল করে দেওয়া এবং তাদের অর্থ উত্তোলন আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে ট্রেজারি বিভাগ।”