কানাডার পর এবার তাদের দেশে এক শিখ নাগরিককে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস করল যুক্তরাষ্ট্র। এর পেছনে ভারতের হাত ছিল বলে অভিযোগ তাদের। এ নিয়ে ভারতকে সতর্কও করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিষয়টি নিয়ে টু প্লাস টু আলোচনায় উত্থাপনের কথা হোয়াইট হাউজ জানালেও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্র কয়েকজন অপরাধী ও সন্ত্রাসীসহ কয়েকজনের কথা জানিয়েছে। সেগুলো নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “ভারত তাদের দিক থেকে এই তথ্যকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে, কারণ এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেও আঘাত হানছে।”
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাদের নাগরিক একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র বানচাল করেছে তারা। এ হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারত সরকারের জড়িত থাকার বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্র যাকে হত্যার তথ্য ফাঁস করেছে, তার নাম গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আইন পেশায় যুক্ত আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনি কানাডারও নাগরিক। ২০০৭ সালে ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) নামের একটি সংগঠন তিনি গড়ে তোলেন। ২০১৯ সালে ভারত সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
সংগঠনটি ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের জন্য স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র গড়তে চায়। ২০২০ সালে পান্নুনকেও ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ভারত।
গুরপতবন্ত সিং পান্নুন সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের পতাকাবাহী উড়োজাহাজ এয়ার ইন্ডিয়ায় সফর না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি একটি ভিডিও বার্তায় তাদের প্রাণ সংশয় হওয়ার কথা জানান।
পান্নুনের ভিডিও বার্তাটির বিষয়ে জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ভারতের এনআই একটি এফআইআর দায়ের করে।
যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’ পত্রিকায় পান্নুনকে হত্যার ছক বানচাল করার খবর প্রকাশিত হয়। নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর বিবৃতির দুই মাস পর এ খরবটি প্রকাশিত হয়।