মার্কিন নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিন শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর শহর বুসানে পৌঁছেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন তার অঙ্গীকার রক্ষা করেছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) সংবাদমাধ্যম কোরিয়া হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। দুই দেশের কূটনীতি স্থবির। এই অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেশকে একটি ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
জবাবে সিউল ও ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ং যদি কখনো তার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের মুখোমুখি হবে এবং উত্তর কোরিয়ার বর্তমান সরকারের ‘অবসান’ ঘটবে।
ইউএসএস মিশিগান একটি ওহাইও-শ্রেণির পারমাণবিক চালিত গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন। ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শুক্রবার এটি বুসানে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এপ্রিলে ওয়াশিংটন সিউলের নেতাদের স্বাক্ষরিত ঘোষণা অনুযায়ী সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এই সাবমেরিন বুসানে এসেছে। ঘোষণায় ওয়াশিংটনের ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি’ এবং কোরিয়াকে পারমাণবিকসহ মার্কিন সক্ষমতার সম্পূর্ণ পরিসরের সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) বলছে, ১৮ হাজার টন ওজনের সাবমেরিনটি প্রায় ১৭০ মিটার দীর্ঘ। ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জসহ ১৫০টি টমাহক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত এটি।
উত্তর কোরিয়া চলতি বছর একাধিক আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং।