ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করেছেন। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেশ শক্তিশালী এবং সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির উপকূলে ড্রোনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হুথিদের হামলায় মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ইয়েমেনের কাছে হুতিরা একটি সামরিক এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিশ্চিত করেছে। পেন্টগনের ডেপুটি মুখপাত্র সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের বলেন, ড্রোনটি ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের উপকূলে লোহিত সাগরে পড়ে যায়।
তিনি বলেন, ড্রোনটি লক্ষ্য করে হুথিরা সারফেস টু এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল এবং এটিকেই ড্রোনটি ভূপাতিত হওয়ার প্রাথমিক কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। ভূপাতিত ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সিএনএন জানিয়েছে, ইয়েমেনি এই সশস্ত্র গোষ্ঠী গত বছরের নভেম্বরে ইয়েমেনের উপকূলে একই মডেলের আরেকটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। মনুষ্যবিহীন এই ড্রোনটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়।
মূলত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হুতিরা। হুতিদের ঠেকাতে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যৌথ হামলা চালালেও; সেগুলো তেমন কার্যকরী হচ্ছে না।
এ ছাড়া হুতিদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বে সমুদ্রপথে যত বাণিজ্য হয়, তার ১২ শতাংশ এই লোহিত সাগর দিয়ে হয়।
এর আগে হুতিদের ঠেকাতে গত মাস থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে হুতি বিদ্রোহীরা। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠী জানিয়েছে, যত দিন গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা চলবে তত দিন তারা হামলা চালিয়ে যাবে।