লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নিহত হয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তার শাহাদাতের সংবাদ নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ।
হামলায় কোন ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেছেন ইসরায়েলি সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক এলিজাহ ম্যাগনিয়ার। তিনি বলেন, “এই হামলায় ৮৫ টন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে বলে আমাদের জানায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। সেটাই ছিল এসম্পর্কে আমাদের প্রথম পাওয়া তথ্য। প্রতিটি বোমার ওজন ছিল এক টন করে। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য।”
এলিজাহ ম্যাগনিয়ার বলেন, “আমাদের কাছে দুই ধরনের বোমা ব্যবহারের সুযোগ ছিল। অথবা এই দুটি ধরনের বোমা একইসঙ্গে ব্যবহার করা যেত। সেক্ষেত্রে আমেরিকার তৈরি ও ইসরায়েলের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা জিবিইউ-৩১ জেড্যাম (জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন) ব্যবহার করা হতে পারে।“
এলিজাহ আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের হাজার হাজার বোমা সরবরাহ করেছে। ইতোমধ্যেই গাজার অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে এসব বোমা ফোলা হয়েছে। অন্য বোমাটি হচ্ছে, ইসরায়েলের অস্ত্র উৎপাদক রাফায়েলের তৈরি স্পাইস-২০০০।”
এলিজাহর মতে হামলায় দুই ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। আর তার ফলেই হামলার পর যে ধরনের ধ্বংস তিনি দেখেছেন, সেটা হতে পারে– যেখানে বিস্ফোরণের শক্তিতে একটি বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার মধ্যে ধসে পড়েছে আশেপাশের ভবন। আর ঠিক এজন্যই এমন ধ্বংসস্তূপ থেকে সব মরদেহ খুঁজে বের করা বা উদ্ধার করতে অনেক অনেক সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি।