যৌথ সামরিক মহড়া করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। মহড়ায় আকাশে রিফুয়েলিং কিংবা দূরপাল্লার লক্ষ্যে আঘাতে জোর দেওয়া হবে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে তা এ মহড়ায় অনুশীলন করা হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশ সামরিক মহড়া শুরু করল।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে তা মহড়ায় অনুশীলন করা হবে। এছাড়া দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব পাবে।
মার্কিন সেনাবাহিনী সেন্ট্রাল কম্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘জুনিপার ওক’। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কতটা দায়বদ্ধ তা এখান থেকে বোঝা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, উপসাগরীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই তাদের মূল লক্ষ্য। এই অঞ্চলে বন্ধু দেশগুলোর বিরুদ্ধে যাতে কোনোরকম আক্রমণ না হয়, সেটা ঠেকানোই লক্ষ্য নিয়েই মহড়া করা হচ্ছে।
ইসরায়েল বলেছে, এই অঞ্চলে বিভিন্ন হুমকি ও বিপদের মোকাবিলা করার জন্য এই সামরিক মহড়া হচ্ছে। আকাশপথের নিরাপত্তা ও সাইবার প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সেরা হওয়ার লক্ষ্যও আছে।
দুই দেশের বিবৃতিতে ইরানের নাম না করা হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের লক্ষ্য যে তারাই, তা বিবৃতি থেকে স্পষ্ট।