মুদ্রাস্ফীতির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে আবারও নীতি সুদহার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিবিসি জানায়, সর্বশেষ গত জুলাই মাসে বাড়ানো হয়েছিল সুদহার।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর নতুন নীতি সুদহার আগের ২.২৫ শতাংশ থেকে ০.৭৫ শতাংশ বেশি। বর্তমানে ৩ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলোও তাদের সুদহার বাড়াতে বাধ্য হবে এবং ঋণ আরও ব্যয়বহুল হবে। যার প্রভাব সাধারণ জনগণের জন্য একটু বিরূপ হলেও ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য ভালো।
এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাজার থেকে আরও বেশি পরিমাণে অতিরিক্ত অর্থ তুলে নিতে পারবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ফেডারাল রিজার্ভ।
এমন সিদ্ধান্ত ছাড়া মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় দাবি করে ফেডারাল রিজার্ভের কর্ণধার জেরোমি পাওয়েল বলেন, “যেভাবেই হোক মুদ্রাস্ফীতিকে দমাতে হবে। এর থেকে নমনীয় কোনো পথ থাকলে ভালো হতো। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ বাকি নেই।”
বর্তমানে শুধু জাপান আর চীন ছাড়া বিশ্বের ছোট-বড় সব অর্থনীতির দেশগুলো মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় নিজেদের সুদহার বাড়িয়েই চলেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৩ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের ৯.৯ শতাংশ, জার্মানির ৭.৯ শতাংশ এবং কানাডার ১০.৫ শতাংশ।
