বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক বিমানপথে দেশটিতে প্রবেশ করতে চান, তাহলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে এবং এর প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। তবে ১১ মে থেকে এ বিধি তুলে দিচ্ছে দেশটি। হোয়াইট হাউস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (২ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। সোমবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আকাশপথে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য করোনার টিকার বিধিটি ১১ মে শেষ হবে। এ ছাড়া একই দিন মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ও ঠিকাদারদের জন্য টিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিধি এবং দেশটিতে করোনাসংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থাও শেষ হবে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মূলত যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার কমে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরো দেশজুড়ে করোনার টিকা দেওয়া এবং কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগের কারণে কয়েক লাখ মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে করোনায় মৃত্যু ৯৫ শতাংশ কমেছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯১ শতাংশ।
অন্যদিকে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, তিনি চান যুক্তরাষ্ট্রে করোনার জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হোক। এই জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।