উত্তর কোরিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর সম্ভাব্য পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলার জন্য সামরিক মহড়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে ‘পারমাণবিক হুমকি’ বাড়ানোর অভিযোগ এনেছে পিয়ংইয়ং।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলার জন্য সামরিক মহড়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। ত্রিপক্ষীয় মহড়ার কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রি পিয়ং চোল তাদের আইসিবিএম পরীক্ষা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বিবৃতি জারি করেছেন।
চোল বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা ছিল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ। মহড়া চালিয়ে আঞ্চলিক উত্তেজনাকে ‘বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে’ নিয়ে গেছে ওয়াশিংটন।”
এর আগে উত্তর কোরিয়া শুক্রবার নতুন ধরনের আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এর পর জরুরি বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। তিন দেশ শুক্রবার ওয়াশিংটনে কূটনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা এবং সাবমেরিনবিরোধী মহড়া আয়োজনে সম্মত হয়।
কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সোমবারের মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার ৭ হাজার ৬০০ টন এজিস ডেস্ট্রয়ার ইয়ুলগোক ই আই, ইউএস গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার বেনফোল্ড এবং জাপানের আটাগো ডেস্ট্রয়ার, এজিস রাডার সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী বলছে, এই মহড়াটি উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উসকানিকে মাথায় রেখে ভার্চুয়ালি তা শনাক্ত ও গতিবিধিতে নজর রাখা এবং মোকাবিলাকে আয়ত্ত করার ওপর গুরুত্ব দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডেস্ট্রয়ারের ক্যাপ্টেন কিম কি-ইয়ং এক বিবৃতিতে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির বিরুদ্ধে ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার একটি সুযোগ এই মহড়া।”