যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য নতুন একটি ৬০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহযোগিতা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। প্যাকেজটিতে থাকছে যুদ্ধাস্ত্র ধ্বংস করার অস্ত্র, মাইন-ক্লিয়ারিং সরঞ্জাম, গোলাবারুদসহ অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র। এর একদিন আগেই দেশটি কিয়েভের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছিল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র এই নতুন প্রাকেজের ঘোষণা দেয়। এর আগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইউক্রেন সফরের সময় কিয়েভের জন্য ১ বিলিয়ন ডলার সামরিক ও মানবিক সহায়তার ঘোষনা দিয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম১ আব্রামস ট্যাঙ্কগুলির জন্য ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম গোলা। চলতি বছরের শেষের দিকে ইউক্রেনে এই সহায়তা পৌঁছাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, “সর্বশেষ ৬০০ মিলিয়ন ডলার যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের চাহিদা পূরণ করবে। আর এর মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অটুট সমর্থন প্রকাশিত হয়।”
তবে এই সামরিক সহায়তা অবিলম্বে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছাবে না। কারণ এটি ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভের (ইউএসএআই) মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ওয়াশিংটন তার প্রতিরক্ষা অংশীদারদের কাছ থেকে সরঞ্জাম সংগ্রহ করে।
জো বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পাল্টা আক্রমণের প্রতি সমর্থন স্বরুপ এই সামরিক সহায়তার ঘোষণা আসলো।
যদিও একাধিত মিত্রদেশ ধীর গতির পাল্টা আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আর বাকিরা বলছে ইউক্রেন কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।