নাইজারের সেনাবাহিনী সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে আটক করেছে। অভ্যুত্থানের পর সংবিধান ভেঙে দিয়ে সব প্রতিষ্ঠানকে সাসপেন্ড করেছে তারা। এরপরেই নাইজারে সব কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয়- ওসিএইচএ। সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওসিএইচএ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, নাইজারে আমাদের মানবিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। দেশটি ইতোমধ্যেই সহিংসতা, আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের একটি জটিল মানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
ওসিএইচএর মতে, নাইজারে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন ২০১৭ সালে ছিল ১৯ লাখ মানুষের। ২০২৩ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখে।
নাইজারে ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অথচ দেশটি নাইজেরিয়া, মালি ও বুরকিনা ফাসোর কমপক্ষে আড়াই লাখের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। জাতিসংঘের এজেন্সি জানিয়েছে, নাইজারে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জুন থেকে আগস্টে এই সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির সেনাপ্রধান অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত বাহিনীর পক্ষে বলেছেন, বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ এড়াতে এই সিদ্ধান্তটি প্রয়োজনীয় ছিল।