হাইতির চারটি গ্যাংয়ের নেতাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এই চার নেতাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করার ব্যাপারে সম্মত হয় নিরাপত্তা পরিষদ। মানবাধিকার সংকটে থাকা ক্যারিবীয় দেশটি দীর্ঘদিন ধরে এটি চাচ্ছিল।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার হাইতির গ্র্যান্ড রেভিন গ্যাংয়ের প্রধান নেতা রেনেল দেস্তিনাকে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সঙ্গে ক্রেজ বারিয়ে গ্যাংয়ের নেতা ভিতেল হোমি ইনোসেন্টকেও নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া ফাইভ সেগন্ডের নেতা জনসন আন্দ্রে ও ফোর হান্ড্রেড মায়োজোর নেতা উইলসন জোসেফের নামও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় লেখা হয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগও এই চার ব্যক্তিকে তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করে।
অর্থ বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু ২০২২ সালেই আন্দ্রে ও তাঁর গ্যাংকে ১ হাজার ৩৫টি যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দায়ী করা হয়। বেঁচে যাওয়া ভুক্তভোগীরা এসব ঘটনায় আন্দ্রে ও তাঁর গ্যাংটিকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ করেন। তারা জানায়, আন্দ্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেস্তিনার বিরুদ্ধেও হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, লুটপাট ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে। ২০২১ সালে এক মার্কিন নাগরিককে অপহরণ করার ঘটনায়ও তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
মার্কিন অর্থ বিভাগের বিবৃতি অনুযায়ী, অপরাধী গ্যাংগুলো বর্তমানে পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা গেছে। অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতি, হত্যা ও যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো শিশুসহ হাইতির নাগরিকদের জন্য প্রতিদিন হুমকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
এদিকে হাইতির এসব গ্যাংকে যারা অর্থায়ন করে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং অস্ত্রের চোরাচালান বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এসব বন্দুক ও গোলাবারুদের একটা বড় অংশ ফ্লোরিডা থেকে চোরাচালান হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে জাতিসংঘ জিমি চেরিজিয় নামের হাইতির এক নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তিনি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও জি নাইন অ্যালায়েন্সের নেতা। পোর্ট-অ-প্রিন্সের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জি-পেপ অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জি নাইন অ্যালায়েন্সের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে।