লন্ডনে সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পক্ষে অন্তত তিন লাখেরও বেশি মানুষ গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বিক্ষোভ করে। এই বিক্ষোভ দমন নিয়ে লন্ডন মেট্রোপুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। এমন অভিযোগ তোলার পরপরই তাকে বরখাস্ত করা হয়। নতুন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় জেমস ক্লেভারলিকে।
অন্যদিকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্যামেরন ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসার পক্ষে রায় হলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। কারণ ক্যামেরন ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষেই প্রচার চালিয়েছিলেন।
সুয়েলা ব্রেভারম্যান সম্প্রতি ‘দ্যা টাইমস অভ লন্ডন’ এ একটি নিবন্ধ লিখেন। সেই নিবন্ধে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে, লন্ডন মেট্রোপুলিশ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। ফিলিস্তিনপন্থি একটি বিক্ষোভ দমন না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি কড়া সমালোচনা করেন।
সুয়েলা ব্রেভারম্যান শুরু থেকেই ফিলিস্তিনপন্থিদের সমালোচনা করে আসছেন বলে জানা যায়। গত শনিবার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে নিয়মিত বিক্ষোভে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদেরকে তিনি ‘ঘৃণা’ দ্বারা পরিচালিত বলে ওই নিবন্ধে উপস্থাপন করেছেন। অথচ সবগুলো বিক্ষোভই ছিল শান্তিপূর্ণ। তিনি লন্ডন পুলিশকে দ্বিমুখী আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন।
নিবন্ধটি প্রকাশের পরই সুয়েলা ব্রেভারম্যান তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন।
সমালোচকরা বলছেন, লন্ডনে বিক্ষোভের আগে তিনি উত্তেজনা উসকে দিয়েছেন। তিনি কট্টর অভিবাসীবিরোধী হিসেবেও পরিচিত।