বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যার কারণে এরই মধ্যে দুটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অন্য পর্যবেক্ষকদের মতো তারা শুধু ভোট পর্যবেক্ষণ করবে না বরং নির্বাচনের আগে ও পরের সহিংসতা ও ভুলগুলোকে পর্যবেক্ষণ করবে বলে দলগুলোকে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (এনডিআই) বাংলাদেশের দ্বাদশ নির্বাচনে সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করবে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “মোট ১২ জনের সব তথ্য ভেটিং করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদেরকে আমরা ভোট পর্যবেক্ষণ করার অনুমতি দিয়েছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আইআরআই ও এনডিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে। তারা সেখানে ছয় থেকে আট সপ্তাহ থেকে নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংস পরিস্থিতি ওপর নজর রেখে সেগুলোর মূল্যায়ন করবে।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর চার দিনের বাংলাদেশ সফর করে এনডিআই ও আইআরইয়ের একটি নির্বাচন পূর্ববর্তী পর্যবেক্ষক দল।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে অনেক দেশ, সংস্থা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে মোট ১৫৬ জন পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন করেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন চারটি সংস্থা ও ৩৪টি দেশের নির্বাচন কমিশনের মোট ১১৪ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক করলেও তারা শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষক হিসেবে না থাকার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো তারাও ভোট পর্যবেক্ষণে ছোট একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠাবে। এর বাইরেও কয়েকটি দেশ ছোট ছোট দল বাংলাদেশে ভোট পর্যবেক্ষণ করার জন্য পাঠাবে।
থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও অনেক দেশ থেকে আগামী সাতই জানুয়ারির ভোট পর্যবেক্ষণের আবেদন করা হয়েছে।