আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে সুদানে যুদ্ধরত দুই পক্ষ মুখোমুখি আলোচনায় বসেছে।
শনিবার (৬ মে) সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় জেদ্দায় এ আলোচনা শুরু হয়েছে বলে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এক যৌথ বিবৃতিতে সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে দুই পক্ষের এই আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে।
বিবদমান দুই পক্ষের খোলামেলা আলোচনায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ খুলবে বলেও তাদের আশা।
আলোচনায় আরএসএফের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করে বাহিনীটির নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো জানান, বেসামরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার যে লক্ষ্য ঠিক হয়েছে, আলোচনায় তা অর্জন করা যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।
গত মাসের মাঝামাঝি দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে যাওয়ার পর একাধিক যুদ্ধবিরতি হলেও সেগুলো টেকেনি। সংঘাতে এরই মধ্যে অন্তত সাড়ে পাঁচশ লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত ১ মে পর্যন্ত ৪ হাজার ৯০০ আহতের খবর দেয় সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে সৌদি আরবে দুই পক্ষের আলোচনার দিন শনিবারও সুদানের রাজধানী খার্তুমে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। তিন সপ্তাহের এই যুদ্ধ এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। আশপাশের দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক মুখপাত্র জেমস এলডার জানান, কেবল খার্তুম আর দারফুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো থেকে আসা হিসাব দেখে সংঘাতের প্রথম ১১ দিনে আনুমানিক ১৯০টি শিশু মারা পড়েছে আর ১ হাজার ৭০০ আহত হয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি এর চেয়েও অনেক অনেক খারাপ।