কানাডার পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ তুষারঝড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এ ঝড়ের আঘাতে অনেক গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিদ্যুৎলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন থাকেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, প্রবল তুষারপাতে গাছের ডালপালা বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়ে অধিকাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা এড়াতে লোকজনকে বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ লাইন ও বরফাচ্ছাদিত গাছের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
বুধবার এক ব্যক্তি গাছ পড়ে মারা যান। বাড়ির আঙিনার একটি গাছের ডাল কাটার চেষ্টার সময় ৬০ বছরের অপর এক ব্যক্তি মারা যান।
এদিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় কুইবেক প্রদেশে শিলাবৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কিছু এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ার প্রধান কারণ ছিল বড় আকারের শিলাবৃষ্টি। এগুলো এত ভারী হয়েছিল, অনেক গাছই তা বহন করতে পারেনি। কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টায় ১০ লাখের বেশি হাইড্রো-কুইবেক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
হাইড্রো-কুইবেকের টুইটার বার্তায় বলা হয়, ব্যাপক তুষার ঝড়ের কারণে অনেক গাছ বিদ্যুতের লাইনের ওপর ভেঙে পড়ায় এ বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে বাতিল হয়েছে স্কুল-কলেজের ক্লাস। এ ছাড়া পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো বিমানবন্দরে বাতিল হয়েছে ১১২টি ফ্লাইট।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এখন মন্ট্রিলে রয়েছেন। তিনি পরিস্থিতিকে মন্ট্রিলবাসীদের এবং তুষার ঝড় আক্রান্ত অঞ্চলটির লোকজনের জন্য অত্যন্ত কঠিন বলে বর্ণনা করেন।
১৯৯৮ সালের তুষার ঝড়ের পর এটি কুইবেক প্রদেশে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা। সে সময় কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রদেশটিতে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি বিরাজ করে।