ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের দুই সেনা নিহত হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) ইরানের সেনাবাহিনীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ।
ইরানের সেনাবাহিনী জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে। তাদের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা রক্ষা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায়, অপরাধমূলক ইহুদিবাদী শাসকদের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলা করার সময় দুই যোদ্ধাকে উৎসর্গ করেছে।
এদিকে ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলা ইরানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইরান এ হামলাকে প্রতিহত করতে সফল হয়েছে। হামাস ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে ইরানকে সমর্থন জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
এর আগে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে বিবৃতি দেয় ইরানের এয়ার ডিফেন্স ফোর্স। বিবৃতিতে বলা হয়, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। এসব হামলাকে সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করা হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় ‘সীমিত ক্ষতি’ হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় হামলা হয়েছে, তার ছবি প্রকাশ করা হয়নি। হতাহতের কথাও জানানো হয়নি।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
অন্যদিকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত স্থাপনায় তারা হামলা করেছে। হামলা শেষে তাদের বিমানগুলো নিরাপদে দেশে ফিরেছে। এ ছাড়া ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রক্রিয়াসহ ইরানের আকাশ সক্ষমতাকে টার্গেট করে হামলা করা হয়েছে।
আইডিএফ জানায়, তারা ইরানের ‘সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে ইরানের ধারাবাহিক হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে ‘আত্মরক্ষার’ অংশ হিসেবে ইরানে এই হামলা করেছে ইসরায়েল।
দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ১৪০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইরানের প্রায় ২০টি স্থানে আঘাত করার পর স্থানীয় সময় ভোর ৫টা নাগাদ ইসরায়েল হামলা সমাপ্ত ঘোষণা করে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, তেহরানের দুই বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে। যদিও ইরানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন।
ইরানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এই শব্দ ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম কার্যকর করার কারণে হতে পারে।
ইরানের রিভল্যুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ একটি বার্তা সংস্থা বলছে, তেহরানের পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে কিছু সামরিক ঘাঁটিকে টার্গেট করা হয়েছে।