তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় রোববার (১ অক্টোবর) সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আঙ্কারা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তুরস্ক ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়ে পিকেকের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
আঙ্কারায় রোববার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া জানান, দুই সন্ত্রাসী বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হালকা ধরনের একটি বাহনে করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের ফটকের সামনে বোমা হামলা চালান। এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেন। অন্যজনকে প্রতিহত করা হয়। হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আহত হন।
এই হামলার পরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, সন্ত্রাসীরা কখনোই তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।
পরে এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পিকেকে। তুরস্ক ও পশ্চিমাদের চোখে পিকেকে একটি তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন।
কুর্দি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংবাদমাধ্যম এএনএফ জানিয়েছে, রোববার বিকেলের দিকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের বাদরান গ্রামে হামলার চালায় তুরস্কের যুদ্ধবিমান। পরে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এসব হামলায় পিকেকের অন্তত ২৯টি স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এসব স্থাপনা সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করে আসছিল সংগঠনটি।
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের সঙ্গে পিকেকের সশস্ত্র বিরোধ চলে আসছে। প্রায় চার দশক ধরে চালানো বিভিন্ন হামলায় ১০ হাজারের মতো মানুষের প্রাণ গেছে।
সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে আঙ্কারায় স্টেশনের সামনে আইএসের হামলায় নিহত হন ১০৯ জন।
পিকেকে এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস) অতীতে তুরস্কের পর্যটন এলাকা এবং শহরের কেন্দ্রগুলোতে এ ধরনের হামলা চালিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, হামলার পর পার্লামেন্ট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।