অবৈধ অভিবাসন রোধে তিউনিসিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দীর্ঘ আলোচনার পর রোববার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং এর অধীনে ইইউয়ের কাছ থেকে বিপুল অংকের আর্থিক সহায়তাও পাবে দেশটি। বিপুল ওই আর্থিক সহায়তা তিউনিসিয়াকে তার বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
সোমবার (১৭ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, উভয় পক্ষ অভিবাসন বিষয়ে কৌশলগত ও ব্যাপক অংশীদারত্বের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর এবং তিউনিসিয়াকে ইউরোপের ১ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলো।
সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলা করা। পাশাপাশি তিউনিসিয়া ও ইইউর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো। আর্থিক এই সহায়তা তিউনিসিয়া তার বিপর্যস্ত অর্থনীতি, রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন পুনরুদ্ধার এবং অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় ব্যাবহার করতে পারবে। অবশ্য বেশিরভাগ তহবিলই অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর নির্ভরশীল।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট টুইটারে লিখেছেন, “এতে মানব পাচারকারীদের ব্যবসায়িক মডেলকে ব্যাহত করার বিষয়টি রয়েছে। এছাড়া সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা এবং নিবন্ধন ও প্রত্যাবর্তনের উন্নতি করার বিষয়টিও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার প্রচেষ্টাকে জোরদার করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ইউরোপমুখী শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি বড় রুট তিউনিসিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে তিউনিসিয়া দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল অভিবাসন ইস্যুতে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ডাচ্ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।