প্রথমবার এসেই বাজিমাত। প্রার্থী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। এরপর ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার তার ফিরে আসা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবন। আবারও তুমুল ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সদ্য দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী এই প্রার্থী। ভোটের ফলে যখন জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়, এর পরই বদলে যায় সব চিত্র। বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের ফোন ধরতে ধরতে বেলা গড়িয়ে যায় ট্রাম্পের।
মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বর) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৯৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪টি ভোট। এখন তিন অঙ্গরাজ্যে ফলাফল ঘোষণা হয়নি।
ট্রাম্পকে দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ প্রমুখ। শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্পকে ফোন করেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসও।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, ভোটের প্রাথমিক ফলাফলে জয়ের গন্ধ পেয়েই বিজয়-ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। সে অনুযায়ী, ফ্লোরিডায় বিজয়-ভাষণ দেন তিনি। পুরনো স্লোগান আওড়ে জানান, তার আমলে বিশ্বের মধ্যে আমেরিকা আবার শ্রেষ্ঠ আসন নেবে।
তার পর অবশ্য ট্রাম্পকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনীতিকের তো বটেই, একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানের ফোন ধরতেই ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। সমর্থক এবং অনুদানদাতাদের কয়েকজনের সঙ্গেও ট্রাম্প কথা বলেন। যেন ফোনে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তিনি।
কীভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সারা যায়, তা নিয়েও ট্রাম্পের টিমের সঙ্গে কথা হয় বাইডেনের টিমের। ফোন-কথোপকথনে বাইডেন এবং কমলা দুজনেই মসৃণ ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে ট্রাম্পকে আশ্বাস দেন বলে জানিয়েছে এপি।