যুক্তরাষ্ট্রে অনেকটা ‘ভূমিধস’ বিজয়েই দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাকে আগেভাগেই সমর্থন দিয়েছেন প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তা, মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ধনকুবের ইলন মাস্ক। আর ট্রাম্পের প্রচারণায় ইলন মাস্ক শুধু ১১৯ মিলিয়ন (১১ কোটি ৯০ লাখ) মার্কিন ডলার খরচই করেননি, নিজে উপস্থিত থেকেছেন অনেক এলাকায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্পকে জিতিয়ে আনার উদ্যোক্তা হিসেবে ইলন মাস্ক যে অর্থ খরচ করলেন তা কি এমনি এমনি? না, মোটেই নয়। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে দেখা গেছে। ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে ইলন মাস্কের সম্পদ। কারণ, তার প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারের আনুকূল্য পাওয়া একেবারেই নিশ্চিত হয়ে গেছে।
মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএন বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের জয়ে মাস্কের সম্পদ রাতারাতি ১৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে গেছে। কেবল মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি টেসলার শেয়ারের দামই বেড়েছে ৪১১ মিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে সিএনএন বলছে, মাস্ক এই ১৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বিশ্বের সব মানুষকে এক ডলার করে দিলেও যে অর্থ থাকবে তা দিয়ে বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের পুরো সম্পত্তি (তিন বিলিয়ন ডলার) কিনে নিতে পারেন। সিএনএনের ধারণা, মাস্কের ২৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ আছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা এখনো বাকি। তবে প্রয়োজনীয় ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়ায় বিজয় নিশ্চিত হয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্প ৪৭ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছেন।