রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে। আন্তর্জাতিকভাবে যে আক্রমণকে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউক্রেনের এই যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করে। একে একে তিন বছর পার হলেও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কোনো উদ্যোগ বা আলামত দেখা যায়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে এক আলাপে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধে চুক্তি করা এবং দখলকৃত ভূখণ্ডের গুরুত্ব কমিয়ে দেখা।
সেই মন্তব্যের তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানালেন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা ও আপস প্রস্তুত আছেন।
বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত। একই সঙ্গে অন্য পক্ষও এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে কি না, তার দরকারও রয়েছে।” পুতিন বলেন, “আমরা সব সময় আলোচনা ও আপসের কথা বলে আসছি।”
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় নিকটবর্তী কি না, এমন প্রশ্নে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “পরিস্থিতি দ্রুততার সঙ্গে বদলে যাচ্ছে। যুদ্ধ একটি জটিল বিষয়; কিন্তু আমরা বিশেষ সামরিক অভিযানে আমাদের প্রাথমিক কাজ সমাধানের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছি।”
মস্কোতে শীর্ষ স্থানীয় রুশ জেনারেল ইগর কিরিলভের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে পুতিন বলেন, “আমাদের স্পেশাল সার্ভিস (গোয়েন্দা সংস্থা) এটি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে আমাদের কাজের আরও উন্নতি করতে হবে। অবশ্যই এ ধরনের সাংঘাতিক ভুল হতে দেওয়া যাবে না।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত চার বছরের বেশি সময় ধরে ভ্লাদিমির পুতিনের কথা হয় না উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি না, কখন আমাদের সাক্ষাৎ হবে।” এসময় সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন নিয়ে পুতিন মন্তব্য করেন, “এটি রাশিয়ার পরাজয় ছিল।” বাশারের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া সিরিয়ার ভূখণ্ড দখল করায় ইসরায়েলের নিন্দাও জানান পুতিন।