কয়েক দিন আগে পানামা খাল ফেরত চেয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার গ্রিনল্যান্ড নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
নিজের সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প লিখেছেন, “সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে আমেরিকা মনে করে যে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে অত্যাবশ্যক।”
গ্রিনল্যান্ডের দখল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের পর গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনিও বলেছেন, “আমরা বিক্রি হচ্ছি না এবং আমরা বিক্রি হবও না। স্বাধীনতার জন্য আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামকে ভুললে হবে না। তবে অবশ্যই আমাদের সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা এবং বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে।”
গ্রিনল্যান্ডের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহ নতুন নয়। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালিনও ট্রাম্প ওই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। গ্রিনল্যান্ড চুক্তি করতেও উঠেপড়ে লেগেছিলেন।
২০১৯ সালে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ভূরাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতার কারণে তিনি ওই অঞ্চল কিনতে চান। তার সেই ইচ্ছা শুনে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্কের নেতারা। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেছিলেন, “গ্রিনল্যান্ডকে কোনোভাবেই বিক্রি করা হবে না।”
গ্রিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে আমেরিকার মহাকাশ বাহিনীর ঘাঁটি পিটুফিক স্পেসবেস রয়েছে। আর তার জন্যও গ্রিনল্যান্ডের দখল আমেরিকা নিজেদের হাতে রাখতে চায় বলে মনে করা হয়।
উত্তর মেরুর কাছে অবস্থিত দ্বীপটির কৌশলগত অবস্থানের কারণে রাশিয়াসহ অনেক দেশই সেটির নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার চেষ্টা করছে অনেক দিন ধরে।
গ্রিনল্যান্ড উত্তর আমেরিকা মহাদেশের স্বশাসিত দ্বীপ। তবে এটি বিবেচিত হয় ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অংশ হিসেবে। গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক হিসেবে গণ্য হন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে টাকাও আসে গ্রিনল্যান্ডে।