মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটি শেষের দিকে চলে এসেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় সব রাজ্যে শেষ হবে ভোটগ্রহণ। সবার প্রথমে ক্যান্টাকি ও ইন্ডিয়া রাজ্যের ভোটকেন্দ্রগুলোর দরজা বন্ধ হয়। আর এখান থেকেই আসা শুরু করে ভোটের ফলাফল।
নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে নির্বাচনে ‘বিশাল কারচুপির’ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ট্রুথে পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে কারচুপির ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছেন। তবে তিনি কোথা থেকে কারচুপির তথ্য পেলেন সেটি নিশ্চিত নয়।
তবে এরইমধ্যে বিভিন্ন বুথফেরত জরিপের ফল আসতে শুরু করেছে। যার মধ্যে একটিতে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।
এনবিসি’র এক জরিপে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ ভোটার অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ওপরই আস্থা রাখছেন। যেখানে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করছেন ৪৭ শতাংশ ভোটার।
এ ছাড়া ৭২ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা দেশের অবস্থা নিয়ে ‘রাগ’ বা ‘অসন্তুষ্ট’। এটিকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার জন্য ‘খারাপ লক্ষণ’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, মার্কিন ভোটাররা তাদের ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি বেশি বিবেচনায় নিয়েছে, এনবিসির এই বুথফেরত জরিপ তার প্রথম ইঙ্গিত।
এদিকে এপির ভোটকাস্টের তথ্য মতে, মার্কিন ভোটাররা বলেছেন যে অর্থনীতি এবং অভিবাসনই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মূল সমস্যা।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি ভোটারের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, দেশটি নেতিবাচকতা এবং হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত।
এই জরিপে আরও দেখা গেছে, ১০ জনের মধ্যে 8 জন ভোটার যেভাবে দেশ পরিচালনা করা হয় তাতে ‘বড় পরিবর্তন’ চান। এর মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভোটার আবার বলেছেন, তারা পুরোপুরি পরিবর্তন চান।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে রয়েছে বলে মনে করেন ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ভোটার।
অন্যদিকে, সিএনএন-এর জাতীয় বুথফেরত জরিপের প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে, চলতি বছরের নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে ভোট চলছে তা নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছেন।
জরিপ মতে, মাত্র এক-চতুর্থাংশ ভোটার নিজেদের উৎসাহী বা জাতির অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জনের মধ্যে ৪ জনেরও বেশি অসন্তুষ্ট এবং ১০ জনের মধ্যে ৩ জন বলেছেন যে তারা রাগান্বিত।