যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) নিউইয়র্ক সিটি এবং সিয়াটলসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন।
নারীদের প্রজনন অধিকারের বিরুদ্ধে হুমকি এবং অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অ্যাডভোকেসি গ্রুপের সদস্যরাও ছিলেন। তারা শ্রমিকদের অধিকার এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আহ্বান জানান।
এ সময় ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের বাইরে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন প্লাকার্ড দেখা যায়। তাতে লেখা ছিল ‘আমরা আমাদের রক্ষা করি’ এবং ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, নারীদের স্বাধীনতার জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ কারও কারও প্লাকার্ডে লেখা ছিল ‘আমরা এখানেই থাকব, যাব না’।
ওয়াশিংটন ডিসিতেও এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। যেখানে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন উইমেন মার্চের অংশগ্রহণকারীরা। সামাজিকমাধ্যমে বিক্ষোভের কয়েকটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা যায় তারা বিভিন্ন প্লাকার্ড বহন করছেন।
তাতে লেখা, ‘ভালো আচরণ করা নারীরা ইতিহাস তৈরি করে না।’এছাড়া ‘আপনি কখনো একা নন।’ কয়েকজনের হাতে ছিল ‘আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা জিতব’ এবং ‘আমার স্বাধীনতা কোথায় যখন আমার পছন্দের কোন মূল্য নেই?’
শনিবার সিয়াটলের স্পেস নিডলের বাইরেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে ট্রাম্প এবং দুই দলের যুদ্ধ মেশিনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন সেখানকার মানুষ। বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পোস্টারে লেখা ছিল ‘জনগণের আন্দোলন গড়ে তুলুন’ এবং যুদ্ধ, দমন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করুন!’ এ সময় গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রেতি সংহতি প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ।
এর আগে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে সিটি হলের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমেক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প।