ঘুষের পরিমাণ বেশি মনে হলে সহজ কিস্তির বিনিময়ে অর্থ পরিশোধের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ভারতের গুজরাটের একদল সরকারি কর্মকর্তা। ভারতের দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি) বলছে, এ ঘটনা দেশটিতে নতুন নয়।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিন এসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছর গুজরাটে কিস্তিতে ঘুষ দেওয়ার ১০টি ঘটনার কথা তারা জানতে পেরেছেন।
এ নিয়ে ভারতের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির পরিচালক শমসের সিং বলেন, কিস্তিতে ঘুষ নেওয়ার এই প্রথা নতুন নয় এবং এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
এডিটিভি বলছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে গুজরাটের কর কর্মকর্তারা এক মোবাইল দোকানদারের কাছে ২১ লাখ রুপি ঘুষ চান। পরে ওই ব্যক্তি প্রথম কিস্তিতে ২ লাখ রুপি দেন। এবং পরে আরও দুই কিস্তিতে বাকি টাকা পরিশোধের সুযোগ পান।
এদিকে গত ৪ এপ্রিল সুরাটের একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষিজমির একটি কাজের গ্রামবাসীর কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ঘুষ চান। ওই গ্রামবাসীর আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, সে কথা বিবেচনা করে কিস্তিতে ঘুষ দেওয়ার কথা বলেন উপপ্রধান। গত ৪ এপ্রিল ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। এদিকে সম্প্রতি গান্ধীনগরে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ৪০ হাজার রুপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এক বক্তির কাছে ১০ হাজার রুপি অগ্রিম নেন। পরে বাকি টাকা কিস্তির মাধ্যমে নেন।
ভারতের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঠিক যেভাবে বাড়ি, গাড়িসহ অধিকাংশ পণ্য কেনার সময় সহজ কিস্তিতে টাকা শোধের সুবিধা দেওয়া হয় সেই পদ্ধতিতে ঘুষ নিচ্ছেন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তারা। ঘুষ নিয়ে ব্যাংক ব্যালান্স বাড়ানোর কোনো সুযোগ ছাড়ছেন না তারা।