ফেব্রুয়ারিতে ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোটছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক্-বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেলে বেশ ঘটা করে। ছেলের বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠানে জৌলুশের কোনো কমতি রাখেননি মুকেশ আম্বানি। এ নিয়ে দিনের পর দিন মেতে ছিল ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। আম্বানি পরিবারের নানা খুঁটিনাটি উঠে এসেছে তাদের প্রতিবেদনে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও এসেছে সেসব খবর।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইম এক প্রতিবেদনে তুলে এনেছে, মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির প্রেমের খবর। প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, কীভাবে মুকেশ আম্বানি নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন সপ্তাহ ধরে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনই একদিন গাড়িতে করে ঘুরতে বেরিয়ে মুম্বাইয়ের পেডার রোডে যানজটে আটকা পড়েন মুকেশ ও নীতা। যানজটে বসে থাকতে থাকতে মুকেশের মনে হয়, নীতাই সেই মেয়ে, যাকে তিনি বিয়ে করতে পারেন। আর হুট করে তখনই তিনি নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন।
আর এই খবর মুকেশ নিজেই উপস্থাপক ও অভিনেত্রী সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাতকার সূত্রেই এখন নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে এ খবর।
সিমি গারেওয়ালকে মুকেশ আম্বানি বলেছিলেন, “নীতাকে আমি আমার জীবনসঙ্গী করব, তা অনেকটাই মনস্থির করে ফেলেছিলাম। আর তাই পেডার রোড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় আমি হুট করেই ওকে বলে বসলাম, নীতা তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে? এখন শুধু হ্যাঁ অথবা না বলো।’
নীতা বলেন, মুকেশ, গাড়ি টান দাও। মুকেশ তখন নীতাকে বলেন, আমাকে হ্যাঁ অথবা না বলো। আমি গাড়ি ছাড়ব না।
পরপর তিনবার জিজ্ঞেস করার পরও নীতা কোনো সাড়া দিচ্ছিলেন না। এরপর মুকেশের প্রস্তাবে সায় দেন তিনি।
বর্তমানে ভারতীয় ব্যবসা জগতে নীতা আম্বানি অন্যতম প্রভাবশালীন নারী। সম্প্রতি তার ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক্-বিয়ে পার্টিতে নাচের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতিকে অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন। ভক্তরা এটিকে খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।
নীতা আম্বানি ও মুকেশ আম্বানি ব্যবসায়িক বিশ্বের সবচেয়ে সফল দম্পতিদের মধ্যে একটি। তবে তাদের সফলতার গল্প এই জুটিকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। তারা সত্যিই সবার জন্য অনুপ্রেরণা।
