• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে সাবমেরিন টাইটানে মৃত্যু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০১:৫১ পিএম
বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে সাবমেরিন টাইটানে মৃত্যু

আটলান্টিক সাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানেরও একই পরিণতি হলো। টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গিয়েছে টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসস্তূপ। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) উদ্ধারকারীরা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান। ফলে মারা গেছেন সাবমেরিনটিতে থাকা পাঁচ আরোহী।

ওই পাঁচ আরোহীর একজন পাকিস্তানি  ব্যবসায়ী ও ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (৪৮)। তিনি এর আগে ভয়ানক বিমান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েও বেঁচে ফিরেছিলেন। তবে এবার মারা গেলেন সাবমেরিন দুর্ঘটনায়। ২০১৯ সালে সেই দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্রিস্টিন দাউদ। সেই ঘটনার উল্লেখসহ একটি ব্লগ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শুক্রবার (২৩ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

২০১৯ সালের সেই দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণা করে দাউদের স্ত্রী ক্রিস্টিন বলেন, “সেই দুর্ঘটনা সবকিছু বদলে দিয়েছে। ঘটনাটি অবশ্যই ব্যক্তিগত, অস্বস্তিকর এবং অস্বাভাবিক এক ঘটনা, কিন্তু আমি টানেলের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছিলাম সেদিন। সে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন তারা নিরাপদে অবতরণ করলে তিনি আর কখনো সিগারেট স্পর্শ করবেন না।”

এর আগে গত রোববার (১৮ জুন) সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে সমুদ্রে ডুব দেয় ছোট আকৃতির সাবমেরিন। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই এটির সঙ্গে ওপরে থাকা জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

শখের বশে কোটি টাকা খরচ করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাবমেরিন টাইটানে চড়ে আটলান্টিকের তলদেশে গিয়েছিলেন ওই পর্যটকরা। সাবমেরিনটির চালাচ্ছিলেন এটির মালিক নিজেই। মর্মান্তিক এ ঘটনা ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর।

এমন খবরে তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার।

যেহেতু সাবমেরিন বিস্ফোরণ হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাই সেখানে থাকা উদ্ধারকারী জাহাজ ও মেডিকেল টিমকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে সাগরের তলদেশে যে ধ্বংসস্তূপ পাওয়া গেছে, সেখানে তদন্ত চালাবে মার্কিন কোস্টগার্ড। ফলে সেখানে গভীর সমুদ্রের দূরনিয়ন্ত্রিত যান থাকবে।

টাইটানের ভেতরে যাত্রীরা হলেন পাকিস্তানি  ব্যবসায়ী ও ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশানগেটের মালিক স্টকটন রাশও আছেন। আরেকজন পর্যটক ছিলেন ব্রিটেনের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং। যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থা ‍‍‘অ্যাকশন এভিয়েশনে’র চেয়ারম্যান তিনি। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার নেশা ছিল তার। এ ছাড়া ৭৭ বছর বয়সী ফরাসি পরিব্রাজক নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ডাইভার পল-হেনরি নারগোলেট।

টাইটানিক জাহাজটি ১৯১২ সালে সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক আসার পথে একটি বরফ খণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এটি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বড় জাহাজ এবং প্রথম যাত্রাও তা শেষ করতে পারেনি। ওই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী এবং ক্রুদের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

Link copied!