মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গো অনদিম্বাকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে তার কোনও বাধা নেই। ৩০ আগস্ট তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে পাঠ করা এক বিবৃতিতে গ্যাবনের সামরিক মুখপাত্র কর্নেল উলরিখ ম্যানফোম্বি বলেন, “প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গো অনদিম্বার স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি ইচ্ছে করলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারেন।”
এর আগে, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) গ্যাবনের নতুন প্রধান হিসাবে শপথ নিয়েছেন জেনারেল ব্রাইস ক্লোটেয়ার ওলিগুই এনগুয়েমা। পরে গৃহবন্দিত্ব থেকে বঙ্গোর মুক্তির ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এনগুয়েমা বঙ্গোর চাচাতো ভাই। তিনি বঙ্গোর প্রয়াত পিতার দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশটির অভিজাত সামরিক একটি ইউনিটেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
আল-জাজিরার সাংবাদিক নিকোলাস হক সেনেগালের ডাকার থেকে জানান, বঙ্গো যদি চান তবে এখন দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন। পাঁচ বছর আগে বঙ্গোর স্ট্রোক হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, “বঙ্গোর স্ত্রীকে প্রেসিডেন্ট ভবনের চতুর্থ তলায় তার ছেলে নওরেদ্দিনের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। তাদের সবার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ রয়েছে।”
দেশটির নতুন শাসক এনগুয়েমার জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ চুরির অভিযোগ থাকায় তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
সাবেক ফরাসি উপনিবেশ গ্যাবন আফ্রিকার অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। দেশটির ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট বঙ্গোর পরিবারের হাতে ছিল ৫৫ বছর ধরে। বঙ্গো পরিবারের এই দীর্ঘ সময় শাসনে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা বিষয় নিয়ে দেশটির জনগণের অসন্তোষ ছিল। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর লিবরেভিলসহ গ্যাবনের অন্যান্য জায়গায় সাধারণ মানুষদের উদযাপন করতে দেখা যায়।
জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং ফ্রান্স এই অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা করেছে।