• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাকিস্তানে বেড়েছে গাধার সংখ্যা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩, ০৩:১২ পিএম
পাকিস্তানে বেড়েছে গাধার সংখ্যা

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষা (পিইএস) ২০২২-২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, মালামাল পরিবহনে গাধার সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে দেশটিতে গাধা রয়েছে ৫৮ লাখ। প্রাণীটির সংখ্যা খুব দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯-২০ সালে গাধার সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ, ২০২০-২১ সালে ছিল ৫৬ লাখ এবং ২০২১-২২ সালে ছিল ৫৭ লাখ। সবশেষ গত এক বছর বাদে এ সংখ্যা ৫৮ লাখে পৌঁছেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জিওটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত দুই বছরে দেশটিতে গাধা, গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের সংখ্যা বেড়েছে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। গাধার পাশাপাশি দেশটিতে বর্তমানে গবাদিপশুর সংখ্যা কেমন আছে, সেই তথ্যও জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী ইশহাক দার বলেছেন, বর্তমানে পাকিস্তানে গরু রয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ, মহিষ রয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ, ভেড়া রয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ এবং ছাগল রয়েছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ। তবে ঘোড়া বা খচ্চরের সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত বছর যা ছিল তাই রয়ে গেছে।

পাকিস্তানের প্রাণিসম্পদ খাত এবং কৃষি খাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে এসব গবাদিপশু। ২০২৩ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষি খাতে অবদান ৬২ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেশি।

পাকিস্তানের গ্রামীণ বাসিন্দাদের জন্য পশুপালন একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। যেখানে ৮ মিলিয়নের বেশি পরিবার সরাসরি পশুসম্পদ উৎপাদনে নিযুক্ত। তাদের আয়ের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। ২০২৩ অর্থবছরে জিডিপিতে গবাদিপশুর মোট সংযোজন ৫ হাজার ৫৯৩ বিলিয়ন রুপি, যা ২০২২ অর্থবছরের থেকে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে গবাদিপশু লালন-পালন বড় অবদান রাখছে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

দেশটির মোট রপ্তানির প্রায় ২ দশমিক ১ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আসে প্রাণিসম্পদ খাত থেকে। পাকিস্তান সরকার দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ খাতকে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী এর উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে।

Link copied!