তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা মুসলিম অধ্যুষিত দেশ তাজিকিস্তান। যেখানে ৯৬ শতাংশেরও বেশি মানুষ মুসলিম। মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে হিজাব নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে।
তাজিকিস্তানের সর্বোচ্চ আইনসভায় এ ব্যাপারে আইন পাস হয়েছে। এতে পোশাকসহ অন্যান্য নিয়মও যুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে উৎসবের পোশাকেও আসছে বিধি-নিষেধ।
যদিও সংসদের নিম্নকক্ষে আগেই হিজাব নিষিদ্ধ করে একটি বিল পাস হয়েছিল। এরপর সংসদের উচ্চকক্ষও নতুন এই বিলে সম্মতি দিয়েছে। বিলে প্রথাগত পোশাককে লক্ষ্য করা হয়েছে। বিশেষত হিজাব।
অবশ্য তাজিকিস্তানে হিজাবকে ‘এলিয়েনদের পোশাক’ বলে উল্লেখ করা হয়। যা তাজিকিস্তানের সংস্কৃতির সঙ্গে ঠিক খাপ যায় না। বড় দাড়ি রাখাও সেদেশে কার্যত নিষিদ্ধ। ঈদ উদযাপনকেও বিদেশি সংস্কৃতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে ঈদে রাস্তায় বেরিয়ে উদযাপনে মাততে পারবে না শিশুরা।
নতুন আইনে নারীদের জাতীয় পোশাক পরার আর্জি জানিয়ে বার্তা পাঠাবে সরকার। ২০০৯ সাল থেকেই সেদেশের সরকারি ধর্ম ইসলাম। তবে, এরই পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মপালনের পূর্ণ স্বাধীনতাও দিয়েছে তাজিক প্রশাসন।
তাজিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, নতুন আইনে বলা হয়েছে, শিশুদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সুরক্ষার দিকেও নজর দিতে হবে। সেদেশের সংস্কৃতি, শিক্ষক ও ছাত্রদের ভূমিকার কথাও বলা হয়েছে আইনে। এই আইন না মানলে শাস্তি হিসেবে দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানা।
প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এখন নেওয়া হলেও বহু বছর ধরেই তাজিকিস্তানে হিজাব নিষিদ্ধ। তবে তাতে কোনও আইন ছিল না। ২০০৭ সালে তাজিক সরকার ইসলামিক ও মিনিস্কার্টের মতো পশ্চিমা পোশাক শিক্ষার্থীদের জন্য নিষিদ্ধ করে।
বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে হিজাব পাঠানো হয় তাজিকিস্তানে। এর সঙ্গে চরমপন্থীদের যোগ খুঁজে পেয়েছে প্রশাসন। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। যদিও এই আইন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।