অবৈধ মাদক হিসেবে গাঁজা বিশ্বজুড়েই নিষিদ্ধ। তবে অনেক দেশে বৈধ্যতা দেওয়ার জন্য দাবিও আছে। তার মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বেশিরভাগ মার্কিনী বিনোদনের জন্য গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেওয়ার পক্ষে।
অবশ্য, দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ এমন সব অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন, যেখানে ব্যক্তিগত ব্যবহার বা নিদেনপক্ষে চিকিৎসার জন্য গাঁজা সেবনে কোনো বাধা নেই।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, গাঁজা সেবনকে বৈধ্যতা দেওয়ার দাবি বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। জো বাইডেনের বদলে দৃশ্যপটে কমলা হ্যারিস আসার পর থেকেই তরুণ-তরুণীদের বড় একটি অংশ তার দিকে ঝুঁকেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে গাঁজা সেবনকে বৈধতা দিতে পারেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সামান্য গাঁজা বহন করার দায়ে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে গ্রেপ্তারের বিপক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্পের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে ফ্লোরিডার বাসিন্দা ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এই উদ্যোগ সবার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এটা হতে যাচ্ছে।”
বিশ্লেষকরা বলছে, গাঁজা সেবনকে বৈধ্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অঙ্গীকার তরুণ ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের কৌশল হতে পারে।
আসছে নভেম্বরে গাঁজাকে বৈধতা দেওয়া নিয়ে ফ্লোরিডায় গণভোটের আয়োজন করা হবে। কারণ সেই মাসেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ভোট দেবেন ফ্লোরিডার জনগণ।
তবে বর্তমান গভর্নর রন ডি স্যান্টিস ও অঙ্গরাজ্যের অন্য কয়েকজন রিপাবলিকান প্রতিনিধি ট্রাম্পের সেই উদ্যোগকে সমর্থন করেন না। ডি স্যান্টিস আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ ধরনের উদ্যোগে ফ্লোরিডার পরিস্থিতি সানফ্রানসিসকো বা শিকাগোর মতো হয়ে যেতে পারে।