নীতা আম্বানি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিয়ের অনুষ্ঠানে ফ্যাশন ও স্টাইল দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির স্ত্রী তিনি। অথচ একসময় তিনি মাসিক ৮০০ রুপি বেতনে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন!
নীতা আম্বানি ৮০০ টাকায় চাকরি করতেন! বিশ্বাস করা কঠিন, তাই না? তবে বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!
আর সেই নীতা আম্বানির পরনে আইভোরি রঙের কাঞ্চিপুরম শাড়ি। কানে টপ, হাতে চুড়ি, গলায় ভারী গয়না। চুলের খোঁপায় সাধারণ ফুল। হালকা সাজে কপালে ছোট লাল টিপ। অল্পের মাঝেই যেন অসীম-সৌন্দর্য এবং আভিজাত্যের মূর্তপ্রতীক ভারতের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবেরের স্ত্রী নীতা আম্বানি (৬০)। ছেলের বিয়েতে ভিন্নধর্মী সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে এত কিছুর মাঝেও সব কৌতূহল নীতার গলায় থাকা নেকলেস ঘিরে। একঝলকেই চমকে ওঠার মতো দুর্লভ পান্নার গয়নাটিই এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। গলার হারটির দাম ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি রুপির মাঝামাঝি, যা অনেক দেশেরই বার্ষিক জিডিপির থেকে বেশি। আর তার সম্পদের পরিমাণ কত, তা তো বোঝাই যায়।
বলিউড লাইফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীতা আম্বানি তার অতীতের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, তিনি তখন একটি স্কুলের নার্সারিতে শিক্ষকতা করতেন। এ জন্য ওই সময়ে অনেকে তাকে উপহাস করতেন।
ওই সাক্ষাৎকারে তার সঙ্গে মুকেশ আম্বানিও উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে নীতা তাদের বিয়ের এক বছর পর স্কুলশিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন, সেই কথা বলেছিলেন মুকেশ আম্বানি নিজেও। তিনি বলেন, “তখন নীতা প্রতি মাসে ৮০০ রুপি আয় করতেন এবং তার আয় নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন। এই অর্থ তিনি রাতের খাবারের জন্য খরচ করতেন।”
ওই সাক্ষাৎকারে নীতা আম্বানি আরও বলেছিলেন, স্কুলে শিক্ষকতা করে তিনি খুবই সন্তুষ্ট ছিলেন। এই কাজ তার জন্য তৃপ্তিদায়ক ছিল। হয়তো কিছু মানুষ তাকে নিয়ে মজা করতেন, কিন্তু তিনি এসব কখনো পাত্তা দিতেন না।
ভারতীয় ব্যবসা জগতে নীতা আম্বানি অন্যতম প্রভাবশালীন নারী। সম্প্রতি তার ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক্-বিয়ে পার্টিতে নাচের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতিকে অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন। ভক্তরা এটিকে খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।
নীতা আম্বানি ও মুকেশ আম্বানি ব্যবসায়িক বিশ্বের সবচেয়ে সফল দম্পতিদের মধ্যে একটি। তবে তাদের সফলতার গল্প এই জুটিকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। তারা সত্যিই সবার জন্য অনুপ্রেরণা।