• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘এলিয়েন’ মাছ নিয়ে আতঙ্কিত থাইল্যান্ড সরকার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
‘এলিয়েন’ মাছ নিয়ে আতঙ্কিত থাইল্যান্ড সরকার
ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে দেখা মিলেছে এক আগ্রাসী প্রজাতির মাছ। যা ধরতে থাইল্যান্ড সরকার লোকজনকে রীতিমতো পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছে। নাম ‘ব্ল্যাকচিন’ তেলাপিয়া। যারা ধরছেন, তারা প্রতি কেজির জন্য ১৫ বাথ পাবেন। ফলে লোকজনও ধরার জন্য জলাশয়গুলোতে নেমে পড়েছেন। তবে দেশটির অ্যানিমেল জেনেটিকসের বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘এলিয়েন’ প্রজাতির মাছের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন।

কেন এই মাছকে আগ্রসী বলা হয়?
থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত যত আগ্রাসী প্রজাতির মাছ দেখা গেছে, এটি তার মধ্যে ‘সবচেয়ে আগ্রাসী’। ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া নামের এই মাছটি পরিবেশের জন্য ভীষণ রকমের ঝুঁকিপূর্ণ। তা ছাড়া তেলাপিয়া প্রজাতির এই মাছটি ছোট মাছ, চিংড়ি ও শামুকের লার্ভা খেয়ে ফেলে। ফলে থাইল্যান্ডের মূল্যবান জলজ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করছে দেশটির সরকার। এতে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অর্থনীতি। এ ক্ষেত্রে দেশটির আইনপ্রণেতা নাট্টাচা বুনচাইনসাওয়াতের অনুমান, এবার এ প্রজাতির তেলাপিয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেশের অর্থনীতি ১০ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি) বাথ (থাইল্যান্ডের মুদ্রা) ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া চেনার উপায়
ঈষৎ লোনাপানিতে বেড়ে ওঠে আগ্রাসী এ ব্ল্যাকচিন’ তেলাপিয়ার প্রভাব পড়েছে দেশটির ১৭টি প্রদেশে। মিঠাপানি ও লোনাপানিতেও বেঁচে থাকতে পারে এরা। আগ্রাসী প্রজাতির এই তেলাপিয়া চেনার উপায় খুব সহজ। এর চিবুক ও গালে কালো দাগ রয়েছে।

ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া শিকারে বিভিন্ন জলাশয়ে ‘এশিয়ান সিবাস’ ও দীর্ঘ গোঁফওয়ালা ‘ক্যাটফিশ’ মাছও ছেড়েছে কর্তৃপক্ষ। এই মাছ দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে বলে তাতেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না।

এ অবস্থায় ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়ার জেনেটিক রূপান্তরের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধিতে অক্ষম তেলাপিয়া উৎপাদন করা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এমন মাছ অবমুক্ত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। কর্তৃপক্ষের আশা, এর মধ্য দিয়ে আগ্রাসী প্রজাতির তেলাপিয়ার বংশবিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে। 

এদিকে থাইল্যান্ডের ওয়ালাইলাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াটিক অ্যানিমেল জেনেটিকসের বিশেষজ্ঞ সুইত উথিসুথিমেথাভি বলেন, ‘আমি এটি (ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া) নির্মূল হওয়ার সম্ভাবনা দেখি না। কেননা আমরা এর প্রজনন রোধ করতে পারব না। প্রাকৃতিকভাবেই এটি ঘটতে থাকবে। এর বংশবৃদ্ধিও ঘটে দ্রুত।’

সূত্র: বিবিসি

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!