দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কার্যক্রম নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ফিলিপাইনের উপকূলরক্ষীরা (কোস্টগার্ড) যৌথ নৌ মহড়া শুরু করছে। ফিলিপাইনের বাটান প্রদেশের জলসীমায় মহড়া শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবার। এটি চলবে ৭ জুন পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১ জনু) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, এই অঞ্চলে সামরিক কূটনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ওয়াশিংটন এ মহড়ার আয়োজন করেছে।
ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের মুখপাত্র আরমান্ড বালিলো সোমবার ম্যানিলায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ত্রিপক্ষীয় মহড়াটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের উদ্যোগে হচ্ছে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দেবে।
তিনি বলেন, “ফিলিপাইনের চারটি জাহাজ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের একটি করে জাহাজ পরিকল্পিত এ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের জাহাজ দুটি অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যক্রমের অনুশীলন করবে।”
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফিলিপাইন, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথ এ নৌ মহড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে সময় ম্যানিলা দক্ষিণ চীন সাগরে আক্রমণাত্মক কার্যকলাপের জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছিল।
মুখপাত্র আরমান্ড বালিলো আরও বলেন, “এটি উপকূলরক্ষী বাহিনীগুলোর একটি স্বাভাবিক রুটিন কার্যক্রম। একই বাহিনীর মধ্যে সামরিক অনুশীলন করাতে কোনো ভুল নেই।”
এদিকে চীনও জলপথে কৌশলগত সামরিক মহড়া কার্যক্রম বাড়িয়েছে। চীন তার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সামরিক সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করছে।
মে মাসে দেশটি তার প্রতিবেশী লাওসের সঙ্গে একটি বিরল যৌথ সামরিক মহড়ার পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরের দক্ষিণাঞ্চলে সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও সামরিক মহড়া অনুশীলন করেছে।
এছাড়া গত মার্চ মাসে চীন ও কম্বোডিয়া প্রথমবারের মতো কম্বোডিয়ার জলসীমায় সামরিক মহড়া করেছিল।
মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের এক গুরুত্বপূর্ণ বলয়ে অবস্থিত দক্ষিণ চীন সাগর। অর্থনীতি, কূটনীতি ও রাজনীতির দিক থেকে এই সাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন দাবি করে, এই সাগরের ৯০ শতাংশ তাদের। এ ছাড়া ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম ঘেঁষে রয়েছে দক্ষিণ চীন সাগর। সে সুবাদে এই সমুদ্রের প্রাপ্য মালিকানা তারাও দাবি করে।
তাদের অভিযোগ, অনেক আগে থেকে এই সাগর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে চীন।