ইন্টারনেট কাজ করছিল না। ওয়াইফাই ঠিক করার জন্য ডাকা হয়েছিল মিস্ত্রি। আর তিনিই ঘটালেন ভয়ংকর কাণ্ড। সুযোগ পেয়েই এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা করলেন অভিযুক্ত। রয়েছে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগও। ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অন টেকনোলজির হোস্টেলেই এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা করা হয়। এরপর প্রতিবাদে নেমেছেন ছাত্রীরা।
জানা গেছে, ছাত্রীদের হোস্টেলের ওয়াই-ফাই সারাই করতে বাইরে থেকে একজন মিস্ত্রিকে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ, এক ছাত্রীর ঘরে কাজ করার সময়ই ওই কর্মী তার পুরুষাঙ্গ দেখান এবং কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করেন। অশোভন আচরণ করে পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
এ ঘটনায় প্রথমে হোস্টেলের ওয়ার্ডেনের কাছে অভিযোগ জানাতে যায় ভুক্তভোগী। কিন্তু তিনি বিষয়টি গুরুত্বই দেননি বরং অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এরপরই প্রতিবাদে সরব হন ছাত্রীরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অভিযোগ জানানো হয় পুলিশে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তদন্ত চলছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হোস্টেল ওয়ার্ডেনকেও।
এ বিষয়ে ত্রিচির জেলা প্রশাসক প্রদীপ কুমার বলেন, হোস্টেলের কর্মী ছাড়া কোনো বহিরাগত পুরুষ কর্মী ছাত্রীর ঘরে ঢুকতে পারে না। প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।
অপরদিকে দ্য নিউজ মিনিট জানিয়েছে, এ ঘটনায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার রাতভর বিক্ষোভ করেছেনি।