আফগানিস্তানে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছে তালেবান সরকার। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে বরণ করে নেওয়া হয় চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ঝাও সেংকে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে তালেবান পুনরায় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকে পাকিস্তান, ইরান, রাশিয়াসহ যে কয়েকটি দেশ আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে তাদের মধ্যে রয়েছে চীন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের অনুষ্ঠানে তালেবান প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ রাষ্ট্রদূত ঝাও-এর সঙ্গে করমর্দন করেন এবং ‘চীনের নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন’।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে জানান, “ইসলামী আমিরাতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনাব ঝাও সেংকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের জন্য চীনের নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই নিয়োগ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করবে এবং একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, ঝাও বলেছেন, চীন ‘আফগানিস্তানের একটি ভাল প্রতিবেশী’ এবং ‘আফগানিস্তানের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করে’।
ঝাও আরও বলেন, “আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীনের হস্তক্ষেপের কোনো নীতি নেই এবং তারা চায় না আফগানিস্তান ‘তার প্রভাবের ক্ষেত্র’ হয়ে উঠুক।”
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, তালেবান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘একটি ভাল পর্যায়ে রয়েছে’ এবং ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন’।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিয়োগটি ছিল ‘আফগানিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া’ এবং ‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনা ও সহযোগিতার অগ্রগতি অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে’।