লিবিয়াকে প্রাচীন একটি মার্বেল ভাস্কর্য ফিরিয়ে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। এ ভাস্কর্যটি ২ হাজারেরও বেশি বছরের পুরোনো।
বর্তমান লিবিয়ার একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট থেকে আবিষ্কার করা ভাস্কর্যটি এবার উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিকে ফিরিয়ে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সুইজারল্যান্ড সরকার প্রাচীন কালের একটি লিবিয়ান মার্বেল ভাস্কর্য লিবিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছে। ভাস্কর্যটি ২ হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো বলে মনে করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত লিবিয়ার দূতাবাসে ভাস্কর্যটি হস্তান্তর করা হয়।
সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল অফিস অব কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এক বিবৃতিতে বলা হয়, এক তরুণীর মাথার এই ভাস্কর্যটি ১৯ সেমি (৭ ইঞ্চি) উঁচু এবং খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী থেকে খ্রিস্টাব্দের প্রথম শতাব্দীর সময়কালের। সেখানে আরও বলা হয়েছে, “এটি সম্ভবত বর্তমান লিবিয়ার সাইরেনাইকার প্রাচীন শহর সাইরেনের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। এটি উত্তর আফ্রিকায় গ্রিক সভ্যতা সম্প্রসারণের বাস্তব প্রমাণ।”
সংস্থাটি আরও বলে, “অবৈধ খননের কারণে এটি দখলে নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। কিন্তু ভাস্কর্যটি কীভাবে সুইজারল্যান্ডে এসে পৌঁছেছে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি’।”
লিবিয়া এবং সুইজারল্যান্ড উভয়ই ১৯৭০ সালের ইউনেস্কো চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। তারা এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সম্পত্তির অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধ করতে চায়।
ভাস্কর্যটি ২০১৩ সালে জেনেভাতে একটি শুল্ক গুদামে পাওয়া যায় এবং ২০১৬ সালে সুইস কর্তৃপক্ষ আইনত এটি বাজেয়াপ্ত করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।