সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি সুইডিশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে গ্যাং সহিংসতা রোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। খবর আল-জাজিরার।
সাম্প্রতিক সময়ে সুইডেনে গ্যাং সহিংসতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জন গ্যাং সহিংসতায় নিহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, তিনি শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও জাতীয় পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করে ‘কীভাবে সশস্ত্র বাহিনী পুলিশকে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে তাদের কাজে সহায়তা করতে পারে’ তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ক্রিস্টারসন বলেন, “সুইডেন আগে কখনও এমন কিছু দেখেনি। ইউরোপের অন্য কোন দেশে এমন কিছু দেখা যাচ্ছে না।”
বৃহস্পতিবার ভোরবেলা উপসালায় বোমা হামলায় এক নারী নিহত হন। এর আগে, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্টকহোমে পৃথক দুটি গুলির ঘটনায় দুজন নিহত হন।
ক্রিস্টারসন তার বক্তৃতায় বলেন, “এটি সুইডেনের জন্য একটি কঠিন সময়। এক ২৫ বছর বয়সী নারী গত রাতে (বুধবার) বিছানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু আর কখনই ঘুম থেকে উঠতে পারবে না তিনি।”
তিনি বলেন, “আমরা গ্যাংগুলোকে দমন করবো, আমরা তাদের পরাজিত করব।”
সুইডেনের গ্যাং সমস্যা মোকাবেলায় দেশটির সামরিক বাহিনী কোন ভূমিকায় কাজ করবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে পূর্ববর্তী প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশ থেকে সুরক্ষার দায়িত্ব সেনারা নেবে। যাতে পুলিশ অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনোযোগী হতে পারে।
সামরিক বাহিনীকে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামানো সুইডেনের জন্য একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।
দেশটির পুলিশের ধারনা, সুইডেনে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সরাসরি গ্যাং অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সহিংসতা প্রধান শহর এলাকা থেকে ছোট শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে সহিংস অপরাধের ঘটনা আগে বিরল ছিল।