পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত দেড়শ জন।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরের দিকে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশওয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ এ হামলার ঘটনা ঘটে। বেলা ১টার দিকে মসজিদের সেন্ট্রাল হলে বিস্ফোরণটি ঘটে। মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন এ সময়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নামাজ শুরুর কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি তার শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন জানিয়েছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে এ আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি)।
পাকিস্তানের একজন নেতৃস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে সম্ভবত হামলা হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা ছিল।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এটিকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “পাকিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব যারা পালন করছে, তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আতঙ্ক তৈরি করতে চাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। যারা এ ঘটনার পেছনে রয়েছে, ইসলামের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুরো জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ। যারা পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়ছে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।”
মসজিদে হামলার ঘটনার পরপরই পেশোয়ারসহ সারা দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দেয় সরকার। এ ছাড়া রাজধানী ইসলামাবাদে নিরাপত্তাসংক্রান্ত উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।