সুদানে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। যদিও এর মধ্যেই দেশটির রাজধানীতে নতুন করে সংঘর্ষ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। ফলে যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এর আগে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সোমবার সন্ধ্যায় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পুনরায় একটি ঘোষণার মাধ্যমে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি বাড়াতে সম্মত হয়। যদিও আগের যুদ্ধবিরতি অসম্পূর্ণভাবে পালন করা হয়েছিল, তারপরও আনুমানিক ২০ লাখ মানুষকে ওই এক সপ্তাহে সহায়তা বিতরণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে।
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বৃদ্ধির ফলে দুর্গতদের আরও মানবিক সহায়তা, প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরুদ্ধার এবং দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনার জন্য আরও সময় পাওয়া যাবে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, সংঘাতের শুরুর পর গত শনিবার থেকে তারা রাজধানী খার্তুমে প্রথম খাদ্য বিতরণ করতে পেরেছে।
নতুন চুক্তির বিষয়ে অবগত এমন বেশ কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিকে আরও কার্যকর করতে চুক্তিতে সংশোধনী নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্য যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সুদানের বাসিন্দারা নীল নদের আশপাশে খার্তুম, ওমদুরমান এবং বাহরিসংলগ্ন তিনটি শহরেই যুদ্ধের কথা জানিয়েছিলেন। গত তিন দিনের তুলনায় সোমবার লড়াইয়ের তীব্রতা বেশি ছিল বলেও জানান তারা।
দেশটিতে গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যকার এই লড়াইয়ের ফলে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।