দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের দিয়ে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করানোর অভিযোগে স্কুলটির অধ্যক্ষ ও এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কোলার শহরে মোরারজি দেশাই রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনাটি কবে ঘটেছে তা জানা না গেলেও, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে স্কুলটির দুটি ভিডিওর মাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। আর গ্রেপ্তারকৃত ওই অধ্যক্ষের নাম ভারাতাম্মা, শিক্ষকের নাম মুনিয়াপ্পা। এ ঘটনায় স্কুলের চার কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও দুইটির ভিত্তিতে সোমবার সকালে কর্ণাটক পুলিশ এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভিডিও দুইটির একটিতে দেখা যায়, স্কুলের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য চার জন শিক্ষার্থীকে কোদাল হাতে সেপটিক ট্যাংকে নামানো হয়। আরেকটি দেখা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এক সারিতে নিলডাউন করিয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের সবার পিঠে ভারী ব্যাগ। ভিডিওগুলো ভাইরালের পর রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত অধ্যক্ষ ও শিক্ষক বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসেবে এগুলো করতে বলা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের বলে স্বীকার করেন।
কর্ণাটকের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “যে শিক্ষার্থীদের সেপটিক ট্যাংকে নামানো হয়েছিল, তাদের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সৌভাগ্যবশত তারা বেঁচে গেছে। কিন্তু তাদের এ মানসিক আঘাতটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগাবে বলে আশঙ্কা করছি।”
ভারতের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে মানুষ ঢুকিয়ে পরিষ্কারের আইন তিন দশক আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বদ্ধ ট্যাংকের ভেতর দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর ব্যাপক ঝুঁকি থাকায় আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু দেশটির কোনো রাজ্যেই এ আইন মানা হয়না বললেই চলে।